এর জোর প্রতিবাদ শফিকের

‘টেকনাফে পঙ্গু বশর হত্যা মামলায় নিরীহ লোকজনকে ফাঁসানোর অভিযোগ’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ১৯ আগষ্ট কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের কক্সবাজার ও দৈনিক আজকের দেশ-বিদেশ পত্রিকায় “টেকনাফে পঙ্গু বশর হত্যা মামলায় নিরীহ লোকজনকে ফাঁসানোর অভিযোগ” প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। পত্রিকায় উল্লেখিত প্রতিবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। যারা প্রতিবাদকারী হয়েছে তারা এলাকা থেকে উধাও।

তাদের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের বিভিন্ন থানায় ইয়াবাসহ ডজনের অধিক মামলা রয়েছে। তাই তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। আমি নাকি দেলোয়ার হত্যা মামলার আসামী তাও মিথ্যা। সম্প্রতি দেলোয়ার হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় আসামী করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে তারা। আমি যদি সৎ থাকি প্রেসক্লাব কেনো যেকোন জায়গায় প্রতিবাদ করার সাহস আমার আছে। পত্রিকায় উল্লেখিত মিথ্যা প্রতিবাদের জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ঘটনার দিন আমি ও আমার পরিবারে কেউ এলাকায় ছিলাম না। প্রতিবাদে ওইদিন বাড়িতে ঢুকে আমরা নাকি গলা টিপে হত্যা করে জমিতে ফেলে দিই বশরকে তাও বানোয়াট। উক্ত প্রতিবাদ নিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে গত ১১ জুলাই রাতে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নস্থ মহেশখালীয়াপাড়ায় পঙ্গু আবুল বশর নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আমি সহ আমার ভাইদের আসামী করা হচ্ছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদকারী ওই মামলায় আসামী করা হয়েছে। আমি মোহাম্মদ শফি মোহাম্মদ শফিক ও আমার ভাইয়েরা বর্তমানে স্বপরিবারে দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার শহরে বসবাস করে আসছি। আমাদের মা ও বড়ভাই বর্তমানে হজ্ব পালনের জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে গত ১১ আগস্ট পঙ্গু আবুল বশর খুন হয়ে। কিন্তু ওই আমি এবং আমার ভাইসহ পরিবারের কেউই টেকনাফে ছিলাম না।

ওই সময় আমি (মোহাম্মদ শফিক) কিডনি রোগজনিত কারণে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থতাবোধ করার পর মেডিসিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতে গত ১০ আগস্ট রাত ৩টার সময় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হই। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আমার ভাইয়েরাও ব্যস্ত ছিল। কিন্তু পঙ্গু আবুল বশর হত্যা মামলায় আমি এবং আমার তিন ভাই তারেক (২১), রাশেদ (১৮), ও আরিফকে (১৮) আসামী করা হয়েছে। যা দেখে রীতিমত হতবাক হয়েছি।

প্রতিবাদকারী
মোহাম্মদ শফিক, পিতা- নুরুল ইসলাম, সাং- মহেশখালীয়াপাড়া, টেকনাফ।